চার্জ ছাড়া একাউন্ট বলেও টাকা কেটে নেয় কেন | Why Free Accounts Still Cost You Money

চার্জ ছাড়া একাউন্ট বলেও টাকা কেটে নেয় কেন | Why Free Accounts Still Cost You Money


অনেকেই ব্যাংকের বিজ্ঞাপন দেখে “বিনামূল্যে একাউন্ট” খুলে ফেলেন, কিন্তু কিছুদিন পর স্টেটমেন্টে দেখতে পান ছোট ছোট চার্জ কেটে নেওয়া হচ্ছে। তখন প্রশ্ন উঠে—যে একাউন্টটা ফ্রি, সেখানে কেন চার্জ? 

একটি বিষয় আমাদের মনে রাখা উচিত—ব্যাংক মূলত একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, যার একটি নির্দিষ্ট রাজস্ব মডেল রয়েছে। ব্যাংক তাদের আয়ের একটি বড় অংশ সংগ্রহ করে বিভিন্ন সেবা থেকে নির্ধারিত চার্জের মাধ্যমে। এই চার্জের মাধ্যমেই ব্যাংকের শাখাগুলোর আধুনিক সুযোগ-সুবিধা, যেমন এসির ঠান্ডা বাতাস, গ্রাহকসেবায় নিয়োজিত কর্মকর্তাদের বেতন এবং প্রযুক্তি পরিচালনার খরচ নির্বাহ করা হয়। তাই প্রত্যেকটি সেবা সব সময় একেবারে ‘ফ্রি’ হবে—এই ধারণা সবক্ষেত্রে বাস্তবসম্মত নয়। তবে এর মানে এই নয় যে ব্যাংক যে কোনো ক্ষেত্রে ইচ্ছেমতো চার্জ নিতে পারে। গ্রাহক হিসেবে আমাদের দায়িত্ব, অ্যাকাউন্ট খোলার পূর্বে সংশ্লিষ্ট সব শর্ত ও চার্জ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নেওয়া। অনেক সময় কিছু চার্জ যুক্তিযুক্ত হলেও, কিছু ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় বা অস্বচ্ছ চার্জও আরোপ হতে পারে, যা ব্যাংকিং রেগুলেশন ও গ্রাহকের অধিকার পরিপন্থী। এসব ক্ষেত্রে সচেতনতা, তথ্য যাচাই ও প্রয়োজন হলে বাংলাদেশ ব্যাংকে অভিযোগ করাও একটি গ্রহণযোগ্য পদক্ষেপ।

এর পেছনের কারণগুলো কী হতে পারে?

একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার সময় অনেক সময়ই দেখা যায় ইনিশিয়াল কোনো ফি না থাকলেও পরবর্তীতে বিভিন্ন পরিষেবা চার্জ প্রযোজ্য হয়, যেমন SMS অ্যালার্ট, একাউন্ট স্টেটমেন্ট, এটিএম লেনদেন, বা দীর্ঘদিন ইনঅ্যাক্টিভ থাকলে ইনঅ্যাক্টিভ ফি। কিছু অ্যাকাউন্টে নির্দিষ্ট পরিমাণ ব্যালেন্স (যেমন ৫০০০ টাকা) ধরে রাখার শর্ত থাকে, যা পূরণ না হলে মাসিক মেইনটেনেন্স ফি কেটে নেওয়া হয়। এছাড়া, তথাকথিত ‘ফ্রি’ অ্যাকাউন্টেও কখনো কখনো লুকানো শর্ত থাকে—যেমন প্রতি মাসে নির্দিষ্ট সংখ্যক লেনদেন ফ্রি, তারপর থেকে অতিরিক্ত লেনদেনে চার্জ। ডেবিট কার্ড ইস্যু ও রিনিউয়াল ফি, চেকবুক চার্জও আলাদাভাবে কাটা হতে পারে। তাই একাউন্ট খোলার আগে অফারের সব শর্ত ভালোভাবে জেনে নেওয়া জরুরি। ব্যাংকের ওয়েবসাইট বা লিফলেট নিয়মিত দেখে চার্জ নীতিমালা সম্পর্কে আপডেট থাকা উচিত। যদি কোনো অপ্রয়োজনীয় বা অজানা চার্জ কাটা হয়, তাহলে সরাসরি ব্যাংকে অভিযোগ জানান। SMS alert বা চেকবুক ব্যবহার না করলে, তা বন্ধ করার জন্য লিখিতভাবে অনুরোধ জানানো যেতে পারে—এতে অপ্রয়োজনীয় খরচ কমানো সম্ভব। সচেতন গ্রাহকই সঠিক ব্যাংকিং সেবা উপভোগ করতে পারেন।

একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার সময় অনেক সময়ই দেখা যায় ইনিশিয়াল কোনো ফি না থাকলেও পরবর্তীতে বিভিন্ন পরিষেবা চার্জ প্রযোজ্য হয়, যেমন SMS অ্যালার্ট, একাউন্ট স্টেটমেন্ট, এটিএম লেনদেন, বা দীর্ঘদিন ইনঅ্যাক্টিভ থাকলে ইনঅ্যাক্টিভ ফি। কিছু অ্যাকাউন্টে নির্দিষ্ট পরিমাণ ব্যালেন্স (যেমন ৫০০০ টাকা) ধরে রাখার শর্ত থাকে, যা পূরণ না হলে মাসিক মেইনটেনেন্স ফি কেটে নেওয়া হয়। এছাড়া, তথাকথিত ‘ফ্রি’ অ্যাকাউন্টেও কখনো কখনো লুকানো শর্ত থাকে—যেমন প্রতি মাসে নির্দিষ্ট সংখ্যক লেনদেন ফ্রি, তারপর থেকে অতিরিক্ত লেনদেনে চার্জ। ডেবিট কার্ড ইস্যু ও রিনিউয়াল ফি, চেকবুক চার্জও আলাদাভাবে কাটা হতে পারে। তাই একাউন্ট খোলার আগে অফারের সব শর্ত ভালোভাবে জেনে নেওয়া জরুরি। ব্যাংকের ওয়েবসাইট বা লিফলেট নিয়মিত দেখে চার্জ নীতিমালা সম্পর্কে আপডেট থাকা উচিত। যদি কোনো অপ্রয়োজনীয় বা অজানা চার্জ কাটা হয়, তাহলে সরাসরি ব্যাংকে অভিযোগ জানান। SMS alert বা চেকবুক ব্যবহার না করলে, তা বন্ধ করার জন্য লিখিতভাবে অনুরোধ জানানো যেতে পারে—এতে অপ্রয়োজনীয় খরচ কমানো সম্ভব। সচেতন গ্রাহকই সঠিক ব্যাংকিং সেবা উপভোগ করতে পারেন।

সুতরাং, “ফ্রি একাউন্ট” মানেই সম্পূর্ণ চার্জমুক্ত নয়। এটি সাধারণত ইনিশিয়াল খরচ ছাড়াই একাউন্ট খোলার সুযোগ বোঝায়। তাই ভবিষ্যতের চার্জগুলো বুঝে সঠিক সিদ্ধান্ত নিন।

এস এম শামীম হাসান 
ব্র্যান্ড কনটেন্ট ম্যানেজার 
ব্যাংকিং আইকিউ ডট ইনফো

নবীনতর পূর্বতন