ডাচ বাংলা ব্যাংক মাল্টি কারেন্সি ভিসা ডেবিট কার্ড | Multi-Currency Visa Debit Card Launched by DBBL

ডাচ বাংলা ব্যাংক মাল্টি কারেন্সি ভিসা ডেবিট কার্ড | Multi-Currency Visa Debit Card Launched by DBBL


ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংক পিএলসি (DBBL) বাংলাদেশের প্রাইভেট ব্যাংকিং খাতে একটি অগ্রগণ্য নাম। তাদের ডেবিট কার্ড ও এটিএম নেটওয়ার্ক অত্যন্ত বিস্তৃত হলেও এখন পর্যন্ত ডিফল্ট ভাবে শুধুমাত্র নিজস্ব নেক্সাস (NEXUS) কার্ড ইস্যু করতো, যা কেবল ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংকের এটিএমেই ব্যবহারযোগ্য ছিল। পাশাপাশি তাদের ভিসা এবং মাস্টার কার্ডের লোকাল ডেবিট কার্ড থাকলেও তার চার্জ তুলনামূলক বেশি হওয়াতে তার ব্যবহার পর্যাপ্ত ছিল না।এর ফলে অনেক সময় গ্রাহকদের ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হতো, বিশেষ করে যেখানে ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংকের এটিএম ছিল না।

নতুন ভিসা ডেবিট কার্ডের উদ্বোধন

এই সীমাবদ্ধতা দূর করতে ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংক সম্প্রতি চালু করেছে ভিসা মাল্টি-কারেন্সি ডেবিট কার্ড, যা বিশ্বের সবচেয়ে বিস্তৃত কার্ড নেটওয়ার্ক VISA দ্বারা সমর্থিত। এই কার্ড যেকোনো ভিসা-সমর্থিত এটিএম, পস (POS) মেশিন এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ব্যবহারযোগ্য, যা গ্রাহকদের জন্য ব্যাংকিং অভিজ্ঞতা আরও সহজ ও সুবিধাজনক করে তুলবে।

ফিচার ও চার্জ

উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, নতুন এই ভিসা মাল্টি-কারেন্সি ডেবিট কার্ড চালুর পরও বার্ষিক ফি ৪৬০ টাকা (ভ্যাটসহ) অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে, যা আগের নেক্সাস ডেবিট কার্ডের মতোই। এর ফলে গ্রাহকরা অতিরিক্ত খরচ ছাড়াই আন্তর্জাতিক ভিসা নেটওয়ার্কের সুবিধা পাচ্ছেন।

কার্ড মাইগ্রেশন প্রক্রিয়া

বর্তমান নেক্সাস ডেবিট কার্ডধারীরা কোনো প্রকার অতিরিক্ত চার্জ ছাড়াই নিকটস্থ ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংক শাখা বা সাব-শাখায় গিয়ে নতুন ভিসা ডেবিট কার্ডে মাইগ্রেট করতে পারবেন। এই সহজ এবং ফ্রি মাইগ্রেশন প্রক্রিয়া গ্রাহকদের জন্য একটি বাড়তি সুবিধা। 

এছাড়াও সম্প্রতি ব্যাংকের অ্যানাউন্সমেন্ট অনুযায়ী সকল গ্রাহক তাদের ডিফল্ট যোগাযোগের ঠিকানায় কুরিয়ারের মাধ্যমে কাজটি পেয়ে যাবেন স্বয়ংক্রিয় ভাবে, তবে এর জন্য গ্রাহকের একাউন্টে যোগাযোগের তথ্য সঠিক ভাবে আপ টু ডেট থাকতে হবে।

DBBL ভিসা মাল্টি-কারেন্সি ডেবিট কার্ডের ধরন

ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংক দুই ধরণের ভিসা মাল্টি-কারেন্সি ডেবিট কার্ড অফার করছে:

১। ইনস্ট্যান্ট কার্ড: এটি একটি নন-পার্সোনালাইজড কার্ড, যেখানে গ্রাহকের নাম এম্বস করা থাকে না। এই কার্ডটি তাৎক্ষণিকভাবে ইস্যু করা হয়।

২। পার্সোনালাইজড কার্ড: গ্রাহকের নামসহ কাস্টমাইজড কার্ড, যা সাধারণত ৫ থেকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে ইস্যু করা হয়। যারা ইন্টারন্যাশনাল ট্রানজেকশন এর জন্য ব্যবহার করবেন তাদের জন্য অবশ্যইপার্সোনালাইজড কার্ড রিকমেন্ডেড।

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:

এটি একটি মাল্টি-কারেন্সি ডেবিট কার্ড হওয়ায় এটি বিশ্বব্যাপী ব্যবহারযোগ্য। তবে বাংলাদেশের বাইরে ব্যবহারের জন্য কার্ডধারীর বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে এবং তা বার্ষিক ট্রাভেল কোটা অনুযায়ী অনুমোদিত (Endorsement) হতে হবে।

বাংলাদেশের বার্ষিক ট্রাভেল কোটা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে, এখানে ক্লিক করুন...

অতএব, ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংকের এই নতুন ভিসা মাল্টি-কারেন্সি ডেবিট কার্ড গ্রাহকদের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য আপগ্রেড। অতিরিক্ত কোনো চার্জ ছাড়াই এখন গ্রাহকরা ভিসার আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক ব্যবহার করতে পারবেন। বর্তমান নেক্সাস কার্ড ব্যবহারকারীদের দ্রুততম সময়ে নিকটস্থ শাখায় গিয়ে নতুন কার্ডে পরিবর্তন করে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

আরও বিস্তারিত জানতে, কল করুন ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ২৪/৭ কল সেন্টারে। ডাচ বাংলা ব্যাংকের কল সেন্টারের যোগাযোগের তথ্য পেতে এখানে ক্লিক করুন..... 

ডিসক্লেইমার: এই কনটেন্টে উল্লেখিত ইন্টারেস্ট রেট এবং ব্যাংক সংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে। আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে তথ্য উপস্থাপন করেছি, তবে সময়ের সাথে এসব তথ্য পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সঠিক ও হালনাগাদ তথ্যের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের অফিসিয়াল সোর্স বা প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

নবীনতর পূর্বতন