অনেকে জানতে চেয়েছেন, বিদেশি মুদ্রায় কেনাকাটা, বিল পরিশোধ বা নগদ অর্থ গ্রহণের সময় বার্ষিক ট্রাভেল কোটা সীমার বিপরীতে পাসপোর্ট এন্ডোর্সমেন্ট বাধ্যতামূলক কি না?
চলুন বিষয়টি পরিষ্কারভাবে জেনে নেই:
ট্রাভেল কোটা কী?
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রচলিত নির্দেশনা অনুযায়ী, একজন বাংলাদেশি নাগরিক প্রতি ক্যালেন্ডার বছরে (১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত) সর্বোচ্চ ১২,০০০ মার্কিন ডলার বা সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করতে পারেন। এই সীমাকে Annual Travel Quota বলা হয়।
বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবহারের শর্তাবলি
বৈধ পাসপোর্ট: বিদেশি মুদ্রা ব্যবহারের জন্য বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে।
বাধ্যতামূলক এন্ডোর্সমেন্ট: নগদ ডলার কেনা বা ডেবিট/ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে বৈদেশিক লেনদেন সক্রিয় করার সময় পাসপোর্টে এন্ডোর্সমেন্ট করতে হবে।
লেনদেনের রেকর্ড: প্রতিটি লেনদেনের তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী পাসপোর্টে রেকর্ড করতে হবে। তবে,১২,০০০ ডলার সীমা সব ব্যাংক ও কার্ডের জন্য প্রযোজ্য এমনকি একাধিক ব্যাংকের একাধিক কার্ড থাকলেও মোট ব্যয় বার্ষিক ১২,০০০ ডলার অতিক্রম করা যাবে না। নগদ ডলার কেনা ও কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন মিলিয়েই এই সীমা গণনা করা হয়।
ট্রাভেল কোটা কোথায় ব্যবহার করা যায়?
# আন্তর্জাতিক বিমান টিকিট, হোটেল বুকিং, বিদেশি দোকানে কেনাকাটা
# অনলাইন শপিং, সাবস্ক্রিপশন ফি, অনলাইন কোর্স ফি পরিশোধ
# আন্তর্জাতিক ভ্রমণের সময় জরুরি ব্যয়ে নগদ ডলার ব্যবহার
কেন এন্ডোর্সমেন্ট বাধ্যতামূলক?
* বাংলাদেশ ব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন মনিটর করে।* এন্ডোর্সমেন্ট নিশ্চিত করে যে বার্ষিক ১২,০০০ ডলার সীমা লঙ্ঘন হচ্ছে না।
সতর্কবার্তা: কোটা সীমা অতিক্রম করলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম লঙ্ঘিত হবে। সেজন্য, ভ্রমণকারী ও অনলাইনে বৈদেশিক লেনদেনকারীদের নিজস্ব ব্যয়ের হিসাব রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ঘন ঘন ভ্রমণ বা আন্তর্জাতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট এবং এন্ডোর্সমেন্ট হালনাগাদ রাখুন।
আরও জানতে চান?
নিকটস্থ Authorized Dealer (AD) ব্যাংক শাখায় যোগাযোগ করুন।