ডাচ-বাংলা ব্যাংক পিএলসি দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান, যারা সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে ক্রেডিট কার্ড সেবাকে গ্রাহকবান্ধব করে তুলেছে। তাদের ক্রেডিট কার্ড সেবা যেমন লেনদেন সুবিধা, ই-কমার্স পেমেন্ট এবং ডিসকাউন্ট সুবিধায় সমৃদ্ধ, তেমনি গ্রাহকদের জন্য রয়েছে বাৎসরিক ফি মওকুফের সুযোগ – যদিও এটি অনেকেই জানেন না।
ব্যাংকিং আই কিউ এর আজকের আলোচনায় তুলে ধরা হলো ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড ফি মওকুফের নিয়মাবলি।
ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের বর্তমান বার্ষিক ফি
বর্তমানে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের বার্ষিক চার্জ উপর ভিত্তি করে চার্জ করা হয়। তবে চার্জে যাই হোক না কেন তা মওকুফের সুযোগ রয়েছে।
ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের ফি মওকুফের শর্তাবলি
এই চার্জ মওকুফ করার জন্য গ্রাহককে প্রতি বছর অন্তত ৫০,০০০ টাকা বা তার বেশি লেনদেন করতে হবে, যা হতে পারে POS (Point of Sale) মেশিনে সরাসরি শপিং বা বিল পেমেন্ট, অথবা অনলাইন ই-কমার্স ওয়েবসাইট/অ্যাপে কেনাকাটা/পেমেন্ট মাধ্যমে।
লেনদেনের ধরণ যেটিই হোক, মোট খরচের অঙ্ক বছরে কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা হলে পরবর্তী বছরে সেই গ্রাহকের কার্ডের বাৎসরিক চার্জ মওকুফ হবে।
উপযুক্ত সময়সীমা ও প্রযোজ্য কার্ড এবং অন্যান্য শর্তাবলী
- ই কমার্স এবং পজ কেনাকাটা গুলোই গ্রহণযোগ্য হবে
- এটিএম থেকে নগদ উত্তোলন, ফান্ড ট্রান্সফার এই সুবিধের আওতাভুক্ত হবে না।
- উক্ত বিলিং বছরের মধ্যে মিনিমাম ডিউ পেমেন্ট কোন মাসে মিসিং থাকা যাবে না।
মিনিমাম ডিউ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন......
গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা
- ব্যাংক যে কোনো সময় ফি কাঠামো ও শর্তাবলি পরিবর্তন করতে পারে।
- সর্বশেষ তথ্যের জন্য ব্যাংকের কল সেন্টার বা নিকটস্থ শাখায় যোগাযোগ করা উচিত।
সুতরাং, আপনি যদি বছরে মোট ৫০,০০০ টাকা বা তার বেশি শপিং, বিল পেমেন্ট বা অনলাইন কেনাকাটায় ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন, তাহলে সহজেই ফি-ফ্রি সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন। এটি সচেতন গ্রাহকদের জন্য একটি দুর্দান্ত সুযোগ।
আরো জানতে কল করুন ডাচ-বাংলা ব্যাংকের কল সেন্টারে। ডাচ-বাংলা ব্যাংক কল সেন্টারের তথ্য পেতে এখানে ক্লিক করুন…